লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক লাব্বাইক লা-শারিকা লাকা লাব্বাইক ইন্নাল হামদা ওয়ান নি’মাতা লাকা ওয়াল মুলকা লা-শারিকা লাক।
হজরত সাহল বিন সা’দ থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যখন তালবিয়াহ পাঠ করা হয় তখন তালবিয়াহ পাঠকারী হাজীর ডান-বাম দিকের পাথর, গাছ ও মাটি তার সঙ্গে তালবিয়াহ পড়তে থাকে। একজন হাজী যখন তালবিয়াহ পাঠ করার মাধ্যমে আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব ও বড়ত্বের প্রকাশ করতে থাকে তখন আল্লাহতায়ালা খুশি হন।
তালবিয়া প্রথমবার পড়া শর্ত, পরেরবার পড়া সুন্নত। তালবিয়া মুখে উচ্চারণ করা শর্ত, শুধু মনে মনে বললে হবে না। তালবিয়ার শব্দ যা উল্লেখ করা হয়েছে তাই পড়া সুন্নত। তবে এমন কালিমা যা দিয়ে শুধু আল্লাহর সম্মানই উদ্দেশ্য তবে তাতে তালবিয়া আদায় হবে। যেমন (লা ইলাহা ইল্লালাহু)। প্রত্যেক ফরজ ও নফল নামাজের পর অধিক হারে তালবিয়া করা মুস্তাহাব।
এছাড়া উঁচু স্থানে আরোহণের সময়, কিংবা নিচে নামার সময় অথবা কোনো আরোহীর দলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এবং শেষ রাতে, ঘুম থেকে উঠার পর বেশি বেশি তালবিয়া পড়বে।
তালবিয়ার শব্দগুলো থেকে কোনো শব্দ বাদ দেয়া মাকরুহ। মহিলারা জোরে তালবিয়া পড়বে না। দলবদ্ধভাবে তালবিয়া পড়া যাবে না। একাকী পড়াই উত্তম। তালবিয়ার আওয়াজ উঁচু করা সুন্নত তবে অন্যের ক্ষতি করে নয়। মসজিদে আস্তে আস্তে তালবিয়া পড়বে।
তালবিয়া পড়ার সময় কোনো কথা বলা যাবে না। তালবিয়া পাঠকারীকে সালাম দেয়া মাকরুহ। যদি কেউ দেয় তবে তালবিয়া শেষ করে উত্তর দেবে। যদি সালামকারী তালবিয়া শেষ করার আগেই চলে যাবে মনে হয় তবে সালামের উত্তর দিয়ে দেবে পরে আবার তালবিয়া পড়বে।