দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় কীভাবে জয়ী হয়েছেন তার বর্ণনা দিয়েছেন কিশোর হাফেজ ত্বরীকুল ইসলাম।
সোমবার দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগের জনপ্রিয় মাধ্যম ফেসবুকে তিনি তার বর্ণনা দেন। এছাড়াও তিনি তার ভবিষ্যত পরিকল্পনাসহ বিভিন্ন অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন।
হাফেজ ত্বরীকুল ইসলাম বলেন, ওই জায়গায় গিয়েও আমি সারা রাত পড়েছি, ঘুমাই নাই। ফজরের সেহরী খেয়ে আমি ঘুমাতাম। আল্লাহর কাছে সিজদা করে কাঁদতাম। (মুনাজাতে বলতাম) আল্লাহ তুমি আমার সম্মান রাখিও, আমার বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণ করিও।
তিনি জানান, হুজুর এক রুমে নামাজ পড়তেন আমি আরেক রুমে নামাজ পড়তাম। দুজনেই আল্লাহর কাছে কাঁদতাম।
হুজুরের কথাই সত্য হল: যখন প্রতিযোগিতা শেষ হল (রেজাল্টের তিনদিন আগে) হুজুর (হাফেজ নেছার সাহেব) আমারে একদিন ডাক দিয়ে বললেন, তুই তো ফার্স্ট হবি।
আমি জিজ্ঞেস করলাম, আপনি কেমনে জানলেন? আমি কিন্তু কম্পিটিশন দেয়ার আগে প্রায় ১০/১২টা দেশ আমার থেকে ভালোই পড়ছে। তা-ও আবার যেসব রাষ্ট্র কুরআন নিয়েই সব সময় চর্চা করে। যেমন ইরান, মিশর, সৌদি।
তখন হুজুর বললেন, এখন তো ওহী নাযিল হয় না। কাশফের মাধ্যমে মানুষ অনেক কিছুই জানে।
আমি বললাম কীভাবে জানে?
তখন হুজুর বললেন, যখন মাহমুদুল হাসান দেওবন্দী (রহ.) উস্তাদের খেদমত করছিলেন তখন কাসেম নানুতুবী (রহ.) আল্লাহর কাছে বলছিল। আল্লাহ তায়ালা তখন তাকে গায়েবিভাবে জানিয়ে দিয়েছেন।
দেশবাসীর উদ্দেশে ১৩ বছর বয়সী হাফেজ ত্বরীকুল বলেন, আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যেন দ্বীনের একজন দা-ঈ হক্কানী আলেম হিসেবে কবুল করেছেন। আল্লাহ যেন আমাকে কুরআন বুঝার তৌফিক দান করেন।
পুরস্কার ঘোষণার সময় যা হল : পুরস্কার ঘোষণার সময় আমি দুরূদ শরীফ পড়ছিলাম।
আমার চেয়ে বেশি খুশি হয়েছে আমার উস্তাদ ও বাংলাদেশের প্রবাসীরা। তারা শুধু পারছিল না যে, আমাকে আলকি দিয়ে আনতে।
ভবিষ্যত স্বপ্ন: কিশোর হাফেজ ত্বরিকুল ইসলাম বলেন, আমি কুরআনকে বুঝতে চাই। কুরআনের প্রচারে আমি সারা বিশ্বে সবার চেয়ে বেশি খেদমত করতে চাই।